আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদচর্চার উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠানে সানি ও মনির

সংবাদচর্চার উদ্যোগে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি বলেন, সদ্য হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো অনেক। যার প্রতিফলন ঘটেছে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগনের পূর্ণ সমর্থনের মধ্যে দিয়ে। তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম মনির বলেন, সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাষ্ট্রবিরোধীদের অনেক বড় একটি পরিকল্পনা ছিলো। নির্বাচন বানচাল ও বির্তকিত করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তুুু ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগের সর্বস্থরের নেতা কর্মিদের অনর অবস্থানের কারনে তা সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার দৈনিক সংবাদচর্চার উদ্যোগে রাজনীতিচর্চা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনায় ছিলেন সাংবাদিক খালিদ আল-আমিন।

সাফায়েত আলম সানি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইতিহাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গুরুত্ব অপরসীম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি সংগ্রাম ও উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এবং আগামীতে সবসময় দায়িত্বের সাথে সব কিছুর মোকাবিলা করবে। বলতে লজ্জা লাগে যে স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও অল্প সংখ্যাক কিছু মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে আছে যেটা এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট ৭টি আসনে নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অগাদ তা সদ্য নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ¯েœহভাজন ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জের হেভীওয়েট নেতা গনমানুষের নেতা একেএম শামীম ওসমানের বিপক্ষে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো কাশেমী নামক একজন ব্যাক্তিকে। তার পাশের বাসার লোক তাকে চিনে কিনা আমি জানিনা। জাতীয় নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হয়েছে পাশাপশি ধানের শীষ প্রতিক দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে যারা প্রতিষ্ঠিত করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে তারেক জিয়া সিলেকশন করেছে বির্তকিত প্রার্থীদেরকে। সারা বাংলাদেশের মধ্যে জামায়াতের ২৫ নেতাকে তারা প্রার্থী করেছে। মূলত তাদের টার্গেট ছিলো নির্বাচনকে বানচাল করা ও নির্বাচনের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করা।

রফিকুল ইসলাম মনির বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যেমে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আমরা ইতিমধ্যে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছি। সদ্য হয়ে যাওয়া নির্বাচনে যারা বিভিন্নভাবে মানুষের থেকে প্রত্যাখিত হয়েছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলো যাতে করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা কোনভাবেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা বানচাল না করতে পারে। এবং আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগন তাদের ভোটের রায়ে আমাদেরকে সমর্থন করেছে এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে তারা জামায়াতের অনেক নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা মুখে বলছে তারা স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু মনোনয়ন দিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের। ভোটারদের ভিতর একটি শঙ্কা ছিলো যে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা কিংবা ভোট দিতে পারবো কিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আমরা তা প্রমাণ করেছি। এবং জনগন আমাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।

সবশেষে তারা সংবাদচর্চার উদ্যোগে রাজনীতিচর্চা আলোচনা অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানায়। এবং সকল কলাকুশলীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সমৃদ্ধি কামনা করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ